





বাংলা চলচ্চিত্রের একসময়ের আবনি অভিনেত্রী ছিলেন তাদের এখন আর সিনেমা জগতের সাথে






তেমন কোনো সম্পর্ক নেই এবং ব্যক্তিজীবন নিয়ে তারা বেশি ব্যস্ত অনেকেই আবার দেশ ছেড়ে






বিদেশের মাটিতে গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছেন আবার কেউ দেশে থেকেও নিজের সংসার






কিংবা স্বজনদের নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন এবং সিনেমা জগৎ থেকে একরকম বিদায় নিয়েছেন তারা এটা বলা চলে আবার অনেকেই আছেন যারা সিনেমার সাথে সম্পৃক্ত না থাকলেও সিনেমার প্রতি ভালোবাসা তাদের এখনো কম নেই
এটি আনন্দের ব্যাপার। দেরিতে হলেও যে পুরস্কার পাচ্ছি তা নিঃসন্দেহে এটি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার। ক্যারিয়ারে আমি অনেক পুরস্কার পেয়েছি কিন্তু আজীবন সম্মাননা সত্যি অন্যরকম।’ আজীবন সম্মাননা পাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সময় নিউজকে এমনটাই বলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুচন্দা।
বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি আরও বলেন, ’আমি জানি না চলচ্চিত্রে কোনো অবদান রাখতে পেরেছি কিনা, সেটা দর্শকই ভালো বলতে পারবেন। কিন্তু আজকে মনে হচ্ছে, সামান্য কিছু হলেও আমি দিতে পেরেছি। যার জন্য আমাকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে।’
চলচ্চিত্র শিল্পে গৌরবোজ্জল ও অসাধারণ অবদানের জন্য প্রতি বছর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ঘোষণা করা হয়েছে ’জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯’। এবার যৌথভাবে আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন চিত্রনায়ক সোহেল রানা ও চিত্রনায়িকা কোহিনূর আক্তার সুচন্দা।
আজীবন সম্মাননা পাওয়ায় চিত্রনায়ক সোহেল রানাকে ’শুভ কামনা’ জানিয়েছেন এ অভিনেত্রী। একসঙ্গে আজীবন সম্মাননা পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ’আমার সঙ্গে উনার অনেক মজার স্মৃতি আছে। সর্ম্পকে উনি আমার দেবর, আমি তার ভাবি। এছাড়া আরেকটা মজার ব্যাপার আছে উনার আর আমার। সেটি যদি আপনি উনাকে কখনো জিজ্ঞেস করেন তাহলে জানতে পারবেন।’
উনি নাকি আপনাকে ’ডিপ্লোমেট’ বলে ডাকেন? উত্তরে জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী হেসে বলেন, ’আমি এটাই বলতে চেয়েছিলাম। বাকিরা আমাকে ’আপা’, ’নায়িকা’ বলে ডাকেন। কিন্তু একমাত্র হিরো যিনি আমাকে ’ডিপ্লোমেট’ বলে ডাকেন, আজকে না বহু আগে থেকে। জানি না কেনো তিনি এ সম্বোধন দিয়েছেন আমাকে। তবে আমার ভালো লাগে। উনাকে আমি খুব পছন্দ করি ব্যক্তিগতভাবে। একসঙ্গে আজীবন সম্মাননা পাওয়াটা আমার জন্য আরেকটি আনন্দের সংবাদ।’
অভিনেত্রী সুচন্দার পুরো নাম কোহিনূর আক্তার সুচন্দা। ষাটের দশকের তিনি চলচ্চিত্র পা রাখেন। সুভাষ দত্ত পরিচালিত ’কাগজের নৌকা’ সিনেমায় অভিনয় করে অভিষেক ঘটে তার। সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৬৬ সালে। অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালক ও প্রযোজক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। এর আগে ২০০৮ সালে শ্রেষ্ঠ পরিচালক ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন সুচন্দা। তিনি ঢালিউড অভিনেত্রী ববিতা ও চম্পার বড় বোন।
বাংলা চলচ্চিত্রের এক সময়ের গুণী অভিনেত্রী সুচন্দা একটা সময় এই অভিনেত্রী বাংলা সিনেমার পর্দা কাঁপাবেন সুদর্শন এই অভিনেত্রী নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দেশে ব্যাপক আলোচিত হয়েছিলেন এবং তার বহু সিনেমা রয়েছে যেগুলো দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে সেইসাথে এই অভিনেত্রী কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার তবে এবার তাকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার দেয়া হয়েছে